ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন রাজনৈতিক তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খান। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসক।
বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত ৮০ বছর বয়সী সিরাজুল আলম খান উচ্চ রক্তচাপসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
তার চিকিৎসায় ৬ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের বুক ও পেটের সিটিস্ক্যানসহ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এবিএম জামাল বলেন, গত রাতে তাকে আমাদের এখানে ভর্তি করা হয়েছে। গত তিন দিন যাবৎ রোগী সিরাজুল আলম খানের ঘুম আসছিল না। ঠিকমতো তার পায়খানাও হচ্ছে না। কিছুটা শ্বাসকষ্টও রয়েছে তার। এখন কেবিনে রাখা হয়েছে।
আরও বলেন, এখন তিনি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন। আজ বোর্ডের সদস্যরা মিলে তাকে দেখেছি। তার বুক ও পেটের সিটিস্ক্যানসহ আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হচ্ছে। তবে রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে তার সর্বশেষ কী অবস্থা।
মেডিকেল বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মোজাফফর হোসেন, গ্যাস্ট্রো-এন্টারোলজির প্রধান অধ্যাপিকা ডা. হাফেজা রোজী আক্তার, রেসপিরেটরি মেডিসিনের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান।
অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার রাতে সিরাজুল আলম খানকে প্রথমে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মাঝরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে আসা চিরকুমার সিরাজুল আলম খান রাজধানীর কলাবাগানে ভাইদের সঙ্গে থাকেন।
গত শতকের ষাটের দশকে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের যে ‘নিউক্লিয়াস’ আলোচিত ছিল তার উদ্যোক্তা ছিলেন সিরাজুল আলম খান। তাকে অনেকে ‘দাদা ভাই’ নামে ডাকত। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ভেঙে জাসদ গঠনের উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি। সিরাজুল আলম খান সচরাচর জনসম্মুখে আসেন না এবং কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি দেন না। তবে আড়ালে থেকেই রাজনৈতিক তৎপরতার জন্য তাকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়।