নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিছানায় প্রস্রাব করায় সৎ মাকে গলা কেটে হত্যা করেছে ছেলে। হত্যার পর ওই ছেলে রূপগঞ্জ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের লাভরাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেলিনা আক্তার (৪০) আড়াইহাজার উপজেলার লষ্করদি এলাকার তাহের আলীর মেয়ে। ঘটনাটিতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর গত তিন বছর আগে উপজেলার লাভরাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার সঙ্গে সেলিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানা যায় সেলিনা আক্তার মানসিক প্রতিবন্ধী। নুরু মিয়ার আগের সংসারের ছোট ছেলে আমির হোসেনের স্ত্রী বিথী আক্তারের সঙ্গে সৎ মা সেলিনা আক্তারের প্রায় সময় বাগ্বিতণ্ডা হতো।
গত সোমবার স্ত্রী বিথী আক্তার তার সৎ শাশুড়ির সঙ্গে চুলায় রান্না করা ও বিছানা প্রস্রাব করার বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
মঙ্গলবার রাতে বাবা নুরু অনুপস্থিতিতে সৎ মা সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ছোট ছেলে আমির হোসেনের বিছানায় প্রস্রাব করাসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেলিনা আক্তার ধারালো ছুরি নিয়ে ছেলের দিকে তেড়ে যান।
এ সময় আমির হোসেন সৎ মার হাত থেকে ছুরি কেড়ে নিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে। খবর পেয়ে রাতেই রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় আমির হোসেন পলাতক ছিল। তবে বুধবার সকালে সে বীরদর্পে রূপগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, আমির হোসেন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।