যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেছেন, রাজনৈতিক শত্রুদের সঙ্গে যোগসাজশে টুইটার তার মুখ বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে।
সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার আশঙ্কায় টুইটার তার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পর শুক্রবার তিনি এ অভিযোগ করেন।
পরে ট্রাম্প তার সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে একের পর এক টুইট করে যান। সে সব টুইটে তিনি বলেন, টুইটার তার মুক্ত বক্তব্য নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে আরও এগিয়েছে এবং আজ রাতে ডেমোক্র্যাট ও র্যাডিকাল বামদের সঙ্গে মিলে টুইটার স্টাফরা তার মুখ বন্ধের উদ্যোগ নেয়।
তবে এ পোস্টটিও টুইটার খুব দ্রুতই মুছে দিয়েছে।
এদিকে টুইটারের এ উদ্যোগ আগে থেকেই আঁচ করে ট্রাম্প তার এ বক্তব্য বিবৃতি হিসেবে হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিস থেকেও প্রচার করেছেন।
ট্রাম্প একইসঙ্গে ভার্চুয়ালি নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তার ফলোয়ারদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সাইটের সঙ্গে আলোচনা করছি। শিগগিরই বড় ধরনের ঘোষণা আসবে।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা চুপ থাকবো না।’
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা বুধবার যখন নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশনে বসেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক তখন আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে। তারা কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে।
শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ে আর পুলিশকে কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে দেখা যায়। কয়েক ঘণ্টা ভবন কার্যত দখল করে রাখার পর বিক্ষোভকারীরা ধীরে ধীরে ক্যাপিটল প্রাঙ্গণ ছেড়ে বাইরে চলে যেতে থাকে।
ওই দিনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ভবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ক্যাপিটল পুলিশ প্রধান।
ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উস্কানিমূলক বার্তার মাধ্যমে ইন্ধন দেন। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়লেও প্রশাসনিকভাবে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।